প্রত্যয় নিউজডেস্ক: করোনা পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। এবার বৈধ আবাসিক অনুমতি প্রাপ্ত বিদেশিদের চীনে ফেরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা সহজ করা হচ্ছে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করতে গত মার্চ থেকে চীনে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বেইজিং। গত বুধবার জানানো হয়েছে যে, ধীরে ধীরে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন বিদেশিরা।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে সকল ব্যক্তির চাকরি সূত্রে দেশটিতে থাকার অনুমতি রয়েছে এবং যাদের দুই ধরনের পারিবারিক রিইউনিয়নের অনুমতি রয়েছে, তারা এখন আবেদন না করেই চীনে প্রবেশ করতে পারেন ।
তবে করোনা প্রতিরোধে চীন যে নীতি চালু করেছে তা কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে বিদেশিদের। এর অর্থ হলো, বিদেশিদের অবশ্যই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে এবং ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর আগে ৩৬ টি ইউরোপীয় দেশ থেকে বিদেশি নাগরিকদের পুনরায় ভিসার আবেদন করার অনুমতি দেয়া হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রথম থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশ করোনার জন্য চীনকেই দায়ী করে আসছে। মঙ্গলবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনকেই অভিযুক্ত করেছেন।
ট্রাম্প আবারও করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ দাবি করে বলেছেন, আমেরিকাকে বর্তমানে একটি অদৃশ্য শত্রুর (করোনাভাইরাস) বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। তার বক্তব্য, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে জাতিসংঘের উচিত চীনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া।
তবে শুধু আমেরিকা নয়। করোনা ভাইরাসের জন্য চিনকে দায়ী করেছে ব্রিটেনও। এমনকি চীনের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের মামলাও করেছেন মার্কিন আইনজীবী ল্যারি ক্লেম্যান।